বুধবার, ২০ অক্টোবর, ২০১০

প্রিয় মা ও মাতৃভাষা, আমার অশ্লীল শব্দাবলীর জন্য আমাকে ক্ষমা করো

প্রিয় মা আমার,
তোমার নিশ্চয়ই সেই দিনটিকে মনে আছে মা, যেদিন আমি বিপ্লবকে খুব করে মেরেছিলাম। গ্রামের লোকজন সালিশ বসিয়েই আমার বিচার করতে চেয়েছিল। তাদের এবং বিপ্লবের অভিযোগ ছিল যে আমি তাকে অহেতুক পিটিয়েছি। তাদের দাবি কেবল ‘শালার পো শালা’ গালির জন্য আমি কাউকেই ওরকম মারতে পারি না। কিন্তু মা, তুমি তো জান আমি শিশুবেলা থেকেই গালিকে কী ভীষণ ঘৃণা করতাম! আমার শিশুবেলা থেকেই কেন জানি মনে হত- যে ভাষার জন্য আমার দেশের ছেলেরা বুকের রক্ত দিয়েছে সে ভাষাকে ব্যবহার করে গালি দিলে ওঁরা কষ্ট পায়। কেউ যখন বাংলা ভাষায় গালি দেয় আমার দুচোখে ভেসে ওঠে ওঁদের হারিয়ে যাওয়া লাশগুলোর ব্যথিত মুখ। আমি দেখতে পাই তোমার কোলে নিদ্রারত ওঁরা ব্যথায় কুকড়ে ওঠে।

মা, আজ আমি বিপ্লবের কাছে, গ্রামবাসীর কাছে করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থণা করছি। আজ আমি গালিকে ঘৃণা করি না। বরং গালি দিতে আনন্দই বোধ করি। মা, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও। বিপ্লব, তুই কোথায় আছিস জানিনা। যেখানেই থাকিস, আমাকে ক্ষমা করে দিস।

প্রিয় মাতৃভাষা,
তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও। তোমাকে ব্যবহার করে আমি আজ চূড়ান্ত অশ্লীল গল্প লিখি। মানুষরূপী জানোয়ারগুলোকে যাচ্ছেতাই গালি দিই। তোমার অপব্যবহারে আমি আর কেপে উঠি না। বরং মনে হয় তোমার শব্দভাণ্ডারে এইসব কুরুচিপূর্ণ-অশ্লীল শব্দ না থাকলে আমার মনের ভাব আমি সঠিক প্রকাশ করতে পারতাম না। আমার চারপাশে তথা আমাদের দেশের দিকে তাকিয়ে আমার শ্বাসরোধ হয়ে আসে। তখন আমার মুখ দিয়ে - আমার হাত-কিবোর্ড দিয়ে গালি না বোরেলে আমি হাঁসফাঁস করি। সাধুদের মালা জপার মত আমি সারাক্ষণ বিড়বিড় করি ’শুয়োরের বাচ্চা’ ’শুয়োরের বাচ্চা’ বলে। প্রিয় মাতৃভাষা আমার, বিপ্লবের সাথে হয়তো কোনদিন দেখা হবে না, সে আমাকে কোনদিন ক্ষমাও করবে না; কিন্তু তুমি আমার প্রতিদিনের সাথি, তোমার শব্দাবলীর দিকে চোখ রেখে রেখে আমি প্রতিদিন ঘুমিয়ে পড়ি, তুমি চাইলেই আমাকে ক্ষমা করে দিতে পার। আমি জানি তুমি তা করবে।

প্রিয় মা,
১৯৫২-৬৯-৭১ হয়ে ১৯৯০। তুমি তোমার বুকে বহু রক্ত ঝরতে দেখেছো। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, এরপর স্বৈরতন্ত্র পতনের আন্দোলন। তোমার দামাল ছেলেরা বুকের রক্ত দিয়ে তাদের দাবি আদায় করেছে। কিন্তু আজ আমরা এ কোন কৃষ্ণগহ্বরে পতিত? আমরা ভেবেছিলাম এবার আমরা তোমার বুকে আর রক্তের হোলিখেলা দেখব না। আমরা ভেবেছিলাম আর আমরা পাকিস্তানী আর্মি কিংবা স্বৈরতন্ত্রের পুলিশ বাহিনীর মত গুলি দেখব না। কিন্তু না মা। আমরা এখন দেখছি শুধু পুলিশ নয়, আমরা নিজেরাই একে অপরকে পিটিয়ে হত্যা করছি, আমরা একে অপরকে গুলি করে হত্যা করছি, আমরা নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর বলে একে অপরকে ছুড়ি দিয়ে রগ কেটে হত্যা করছি। আমরা এতটাই বর্বরে পরিণত হচ্ছি যে মৃতের থ্যাতলানো নাক-চোখ দেখে আমরা মৃত্যোৎসাহে মেতে উঠছি। এইসব বর্বরগুলোকে আমি শুয়োর বলে গালি না দিলে আমি শ্বাসরোধ হয়ে মারা যাব। মা, তুমি আমার এই অসভ্যতাকে মার্জনা কর।

আমরা আজ বিভাজিত। কিছু ক্ষমতালোভী শুয়োরের কাছে জিম্মি আমরা পুরো জাতি। ওরা আমাদের ওদের ইচ্ছেমত ভাগ করে নিয়েছে। বাঙালীর জীবনে আর কোন ৫২-৬৯-৭১ জন্ম নিবে না। প্রিয় মা, তোমার প্রয়োজন হলেও আমরা আরেকটা ৬৯ কিংবা ৭১ ঘটাতে পারব না। কারণ এই ক্ষমতালোভী শুয়োরগুলো আমাদের ঐক্য, আমাদের শিক্ষা, আমাদের নৈতিকতা, আমাদের সমাজ, আমাদের সংস্কৃতি সবকিছুকে বিভাজিত করে দিয়েছে। তোমার ছাত্ররা, যারা তোমার সকল প্রয়োজনেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে তারা আজ জাতির কাছে বিভীষিকা, মূর্তিমান আতংক। তোমার যুবসমাজ টেন্ডারবাজ, হতাশাগ্রস্ত, নেশাখোর, উদভ্রান্ত এবং খুনী। তোমার শিশুরা ভুল শিক্ষায় আক্রান্ত হয়ে শিশুবেলায়ই হয়ে যাচ্ছে এক একজন মানসিক রোগী। বল মা, এসব দেখেও কি আমি এইসব ক্ষমতালোভী ভণ্ড শুয়োরগুলোকে শুয়োর বলব না?

প্রিয় মা এবং মাতৃভাষা, আমার অশ্লীল শব্দাবলীর জন্য তোমরা আমাকে ক্ষমা করো।

শনিবার, ৯ অক্টোবর, ২০১০

গল্প: ধর্ষণালায়ে দুই রাণীমাতা (১৮)+

এই গল্পের ঘটনা চরিত্রের সাথে বাস্তবের মিল খুঁজে পাওয়া গেলে তা নিতান্তই কাকতালীয় বলে বিবেচিত হবে।

এইতো বিশ বছর আগেও এই ধর্ষণালয়ের কর্তা ছিলেন একজন রাজা। অবশ্য তিনি পুরুষ কীনা এ ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তার পত্নী-উপপত্নীরা তাকে অপূরুষ বলেই দাবি করেন। বর্তমানে এই প্রাক্তন রাজা এই ধর্ষণালায়ের রাজা হওয়ার চিন্তাভাবনা বাদ দিয়েছেন। এখন তিনি রাণীমাতাদের স্তন পান করেই সন্তুষ্ট থাকেন।

ধর্ষণালয়ে রাণীমাতারা পাঁচ বছর পরপর নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার সার্টিফিকেট লাভ করেন। সাধারণত নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তেই প্রাক্তন ধর্ষ-রাজার ডিমান্ড বেড়ে যায়। লম্পট ধর্ষ-রাজা তখন দুই রাণীর স্তন চুষে চুষে স্তনের মিষ্টিত্ব পরীক্ষা করেন। তারপর যে রাণীর স্তন বেশি মিষ্টি বলে মনে হয় তার স্তনবৃন্তে ঝুলে পড়েন।

অবশ্য নির্বাচনে সুন্নতি দাড়ি সমৃদ্ধ আর একটি বেশ্যার দালালও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে এই দালালটি সবসময়েই মেক-আপ সমৃদ্ধ ফোলানো চুলের ফর্সা রাণীর স্তনেই ঠোট গুজে রাখে। এর প্রধান কারণ তার নূরাণী চেহারার সাথে কালো রাণীর চেহারা ঠিক খাপ খায় না।

এই ধর্ষণালায়ে মোট ৩০০টি সাধারণ কক্ষ ও ৪৫টি রিজার্ভড কক্ষ রয়েছে। ৫ বছর পরপর নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথম ৩০০টি কক্ষের জন্য একজন করে ধর্ষক নিয়োগ করা হয়। প্রতিটি কক্ষের জন্য নির্দিষ্ট ধর্ষকগণ তাদের ক্ষমতার ৫ বছরে ঐ কক্ষের যাবতীয় বস্তু - চেয়ার টেবিল মানুষ গাছ পাখি বই পুস্তক (কোরান বাদে, রাণীমারা কোরাণ শরীফ ছাড়া ক্ষমতায় যেতে পারেননা বেলে এটাকে ধর্ষনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে) ঘড়ি আলমারী হাড়ি পাতিল আলো বাতাস পানি মাটি দেয়াল ছাদ চাল ডাল আলু ভাত সবকিছুকে ধর্ষণের অধিকার পায়। ধর্ষকগুলোর হাসের লিঙ্গের মত প্যাচানো শিশ্নগুলো ড্রিল মেশিনের মত ঢুকে যায় যাবতীয় পদার্থ কিংবা শক্তিকে ভেদ করে। যেসব নির্ধারিত ধর্ষকদের নিজস্ব শিশ্ন নেই তারা অপরেরটা ধার করেই চালিয়ে যায় অথবা রাণীমাতা তাদের জন্য ডিলডো সরবরাহ করে। ইয়াবা ভক্ষণকারী এই ধর্ষকগুলোর কোনকালেই অর্গাজম আসেনা, তাই ক্ষমতার ৫ বছর তাদের অবিরাম ধর্ষণ চলতে থাকে।

অবশ্য এই ধর্ষকগুলো কেবল নিজেরাই ধর্ষণ করে না, ধর্ষনে সাহায্য করার জন্য কিছু উপধর্ষক ও পাতিধর্ষক পোষে তারা। ধর্ষকগুলো যখন তাদের উপপত্নীদের দিয়ে শিশ্ন চোষানোয় ব্যস্ত থাকে তখন নির্ধারিত কক্ষগুলোর ধর্ষাণাধিকার এই উপ ও পাতি ধর্ষকেরা। মূল ধর্ষকগুলো যখন ধর্ষণ করে তখন তারা কেবল তাদের শিশ্নকেই ব্যবহার করে, কিন্তু উপ-পাতি ধর্ষকেরা প্রত্যেকটা পদার্থ কিংবা শক্তিকে তাদের দাত-নখ-জিহ্বা দিয়ে কেটে-ছিড়ে-চেটে ছিন্নভিন্ন করে দেয়। যে ধর্ষক ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা সবচেয়ে দুর্ধর্ষ ধর্ষণ করতে পারে রাণীমাতা তাদের কাছে ডেকে নিয়ে আদর করেন। প্যারিস হিলটনের মত মুখে শিশ্ন নিয়ে চুষে চুষে বীর্যপাত ঘটান।

ধর্ষণালয়ের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে রাণীমাতা ৩০০ কক্ষের যেকোনটিতে নিজে ধর্ষণ করার ক্ষমতা রাখেন। রাণীমাতার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যগণ নির্ধারণ করে দেন রাণীমাতা কখন কোন কক্ষে তার ধর্ষণ কাজ চালাবেন। রাণীমাতাদের ডিলডো বেধে দেয়ার কাজও করে থাকে এই উপদেষ্টামণ্ডলী।

এই ধর্ষণালয়ের রাণী দুজনের অন্যসব বিষয়ে হাজারো অমিল থাকলেও ধর্ষণ বিষয়ে অলিখিত ধর্ষবিধানকে তারা কোরাণের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দেয়। ধর্ষনালয় পরিচালনার বিধান সম্বলিত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বই রয়েছে। কিন্তু সে বইটিকে তারা থোরাই তোয়াক্কা করে এবং সুযোগ পেলেই বইটিকে তারা সবাই মিলে গণধর্ষণ করে।

বর্তমানে দুই রাণীমাতার মধ্যে অহি-নকুল সম্পর্ক। মেক-আপসমৃদ্ধ ফর্সা রাণীমাতা অনেকদিন যাবত ধর্ষণালয়ের পরিচালনা কমিটির মিটিংয়ে সাঙ্গপাঙ্গসহ অনুপস্থিত আছেন। তার অভিযোগ তাদের বসতে যে চেয়ার দেয়া হয়েছে তাতে তাদের বিশেষ করে রাণীমাতার পাছার সংকুলান হয় না। কেউ কেউ অবশ্য অভিযোগ করেছেন যে চেয়ারে বসার পরে তাদের পাছার নিচে শক্তমত কিছু ঠেকেন যা ক্রমাগত লম্বা হতে হতে তাদের পাছায় ঢুকে পরতে চায়।

খুব শীঘ্রই আমরা সুন্দরী রাণীমাতার কাছ থেকে মধ্যবর্তী নির্বাচন চেয়ে আন্দোলনের নির্দেশনা পাব। রাস্তায় আর্জেস গ্রেনেড, অস্ত্রসহ মাইকে শহীদ অথবা গাজী হবার ঘোষণা দেখতে পাব। ক্ষমতায় থাকা রাণীমাতার দল অবশ্য ইতোমধ্যেই তাদের লগি-বৈঠার দৌড়াত্ম দেখাতে শুরু করেছেন। লগি-বৈঠার পূর্ণ ব্যবহারে রাজপথে আরো বেশি রক্ত দেখার পৈশাচিক আনন্দ লাভ করব আমরা।
আবার দেখব রাণীমাতাদের ঝুলে যাওয়া স্তনবৃন্তগুলো এটুলির মত চুষছে ধর্ষণালয়ের প্রাক্তন রাজা এবং ছাগলা দাড়িসমৃদ্ধ নূরাণী চেহারার লোকগুলো।

আমি প্রতিদিন ঘুমাবার আগে একবার করে হস্তমৈথুন করব যাতে ঘুমাতে গিয়ে রাণীমাতা ও তার ধর্ষকদের ধর্ষণের ঘটনাগুলোকে ভুলে নিশ্চিন্তে ঘুম পাড়া যায়।